চুম্বন
•• অভিজিৎ হালদার
শীতের এক পড়ন্ত বিকেলে সায়নী আর রিক বাড়ি ফিরছিল। শহরের কোলাহল তখনও পুরোপুরি থিতিয়ে যায়নি, কিন্তু তাদের মনে ছিল এক অদ্ভুত নিস্তব্ধতা। রিক হাত ধরেছিল সায়নীর, কিন্তু স্পর্শে সেই পরিচিত উষ্ণতা ছিল না। সায়নী জানে, রিকের মন জুড়ে এখন শুধু অনিশ্চয়তা। নতুন চাকরির খোঁজে সে এক সপ্তাহ পরই চলে যাবে অন্য শহরে, হয়তো অনেকদিনের জন্য।
বাড়ির কাছে এসে সায়নী হঠাৎ থমকে দাঁড়াল। রিক প্রশ্নভরা চোখে তার দিকে তাকাল। সায়নী কিছু বলল না, শুধু রিকের হাতটা নিজের দিকে টেনে নিল। তারপর রিকের ঠোঁটে আলতো করে একটি চুম্বন এঁকে দিল। সেই চুম্বন ছিল ক্ষণিকের, কিন্তু তাতে মিশে ছিল শত বছরের ভালোবাসা, অপেক্ষা আর এক অব্যক্ত বিদায়। রিকের বুকের ভেতরটা মোচড় দিয়ে উঠল। এই স্পর্শে কোনো কামনার তাড়না ছিল না, ছিল শুধু ভালোবাসার এক গভীর অভিজ্ঞান।
রিক সায়নীকে আরও শক্ত করে জড়িয়ে ধরল। সে বুঝল, এই চুম্বন শুধু একটি বিদায় নয়, এটি একটি প্রতিশ্রুতি। প্রতিশ্রুতি তাদের ভালোবাসার, যা দূরত্বে ফিকে হবে না। রিক তার গন্তব্যের দিকে পা বাড়াল ঠিকই, কিন্তু তার ঠোঁটে লেগে রইল সায়নীর ভালোবাসার স্পর্শ। আর সায়নীর মনে থাকল সেই চুম্বনের স্মৃতি, যা তাদের সম্পর্কের এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা করেছিল।