একটুকু ছোঁয়া লাগে
সরজিৎ ঘোষ
বর্ধমান থেকে ভোরের ট্রেনে কলকাতায় আসছি। প্রতি সপ্তাহের রুটিন তখন এটাই। শনিবার রাতে বাড়ি ফিরি আর সোমাবার ভোরের ট্রেন ধরে আবার কলকাতায়। কলকাতায় আমার অফিস। মাস পাঁচেক হয়েছে তখন চাকরিটা পেয়েছি। যাইহোক, ট্রেনে উঠে সীটে বসতে যাব, দেখি আমার উল্টোদিকে বসে আছে একটি অল্প বয়সী মেয়ে। বয়স বাইশ তেইশ হবে। দেখতেও বেশ সুন্দরী। দেখলাম আমার দিকে এক ঝলক তাকিয়ে মুখটা নিচু করে নিল। আমিও বসার পর ব্যাগটা কোলের ওপর রেখে মোবাইলটা পকেট থেকে বের করে দেখতে লাগলাম। তখন ওই খুব ভালো অ্যানড্রয়েড সেট বাজারে আসেনি। নতুন চাকরি পেয়ে হাতে একটা মোবাইল, আমার কাছে সেটাই তখন বিরাট ব্যাপার। সেভাবে সবার হাতে হাতে তখন মোবাইল ছিল না। ইচ্ছে করেই আমি মোবাইলটা হাতে রাখতাম। অনেকেই তখন তাকিয়ে থাকত। আপতত আমি বসে আছি।অপরদিকে ওই মেয়েটি। সামনে কোনো সুন্দরী মেয়ে থাকলে অনেক ছেলেরাই একটু হিরো হিরো ভাব দেখাতে চায়। আমার মধ্যে সেরকম ভাবনা তখন আসছিল না। আমি ঠিক করে নিয়েই ছিলাম সে যত সুন্দরীই মেয়ে হোক, নিজের পার্সোনালিটি নিয়েই এবার থেকে চলব। কারণ মাস তিনেক আগেই আমার ব্রেকাপ হয়ে গিয়েছিল। সদ্য প্রেমে ছ্যাঁকা খাওয়া, ব্রেকাপের ক্ষতটা তখনো দগদগে। আসলে আমার সাড়ে তিনবছরের প্রেম ছিল। খুব ভালোবাসতাম স্বর্ণশ্রীকে। স্বর্ণশ্রীর সাথে পরিচয় পাঁচ বছর ধরে।তখন ও শুধু বন্ধুই ছিল। পরে রিলেশনে আসি।তিন বছর প্রেম করার পর ও বলল,
-বাড়ি থেকে মেনে নেবে না এই রিলেশনটা। বাবার বন্ধুর ছেলের সাথে আমার বিয়ের ঠিক করছে আমার বাবা। বড় ব্যবসা ওদের।
আমি শুনে বলেছিলাম,
-তাহলে আমি?
ও বলল,
-বাবাকে কষ্ট দিতে পারব না।
-তোমার কোনো নিজস্ব মত নেই?
-থাকলেও আমার পছন্দকে মেনে নেবে না কেউই।
-আমার কি হবে তাহলে?
ও বলল,
-তুমি ভুলে যাও আমাকে। সেটা দুজনের জন্যই ভালো।
কত সিম্পল ভাবে কথা গুলো বলে দিয়েছিল স্বর্ণশ্রী। খুব কেঁদে ছিলাম ওর সামনে। হাত দুটো ধরে ওকে বলেছিলাম, প্লিজ ছেড়ে যেও না। থেকে যাও। ও শেষ পর্যন্ত বলল, আমার কিছু করার নেই। তারপর থেকে কথা বলা বন্ধ করে দিল।অনেক চেষ্টা করেও ও ফেরেনি। এই ধাক্কাটা কিছুতেই মেনে নিতে পারিনি। ঠিক করি জীবনেও আর প্রেম করব না।
সে যাইহোক, আমি ট্রেনে বসে মোবাইলটা আবার পকেটে রেখে চোখ বন্ধ করে পড়ে রইলাম।এদিকে ট্রেন বর্ধমান ছেড়ে এগিয়ে চলেছে। ওই সুন্দরী আমার মুখোমুখি। কেন জানিনা চোখ বন্ধ করার পরেও মনে হচ্ছিল, ও আমার দিকে হয়তো তাকিয়ে আছে। আবার ভাবলাম ও কেন আমার দিকে তাকাতে যাবে! একবার চোখ খুলে তাকাতেই দেখি, ও আমার দিকে সত্যিই তাকিয়ে আছে। চোখে চোখ পড়তেই আমি চোখ বন্ধ করে নিই। ট্রেনে তখন অন্য যাত্রীরা কেউ কেউ ঘুমিয়ে আছে, কেউ আবার জেগে। গ্রীষ্ম কালের দিন। ওই এপ্রিল মাসের শেষ দিক। কিছুক্ষণ পর মেয়েটি বলল,
-এক্সকিউস মি শুনছেন।
আমি চোখ খুলে জিজ্ঞেস করলাম,
-কিছু বলছেন?
-হাওড়া পৌঁছতে আর কতক্ষণ সময় লাগবে?
-ধরে নিন দেড় ঘণ্টা বা তার একটু বেশি।
মনে মনে ভাবলাম কথা বলার জন্য ছল ছুঁতো।ট্রেনে যাতায়াত করছে, এদিকে হাওড়া পৌঁছতে কতক্ষণ টাইম লাগবে জানে না? আদিখ্যেতা সব।বেশি পাত্তা দিলে হবে না। তাই আবার চোখটা বন্ধ করে নিতে যাব, মেয়েটি বলল,
-হাওড়া থেকে সল্টলেক যাবার জন্য কত নম্বর বাস পাব বলুন তো?
মনে মনে ভাবলাম ঘুমোতে দেবে না দেখছি। একটু অনিচ্ছা প্রকাশ করেই বললাম,
-অনেক বাস আছে পেয়ে যাবেন।
-আসলে আমি নতুন তো। এর আগে এক দু বার এসেছিলাম। তখন অনেক ছোটো। কলকাতার কিছু চিনি না। তাই জিজ্ঞাসা করলাম আর কি।সরি কিছু মনে করবেন না।
কলকাতায় নতুন আসছে শুনে আমিও একটু অবাক হলাম। তাও আবার একা একা। আমি যেন একটু সদয় হয়েই বললাম,
-না না ঠিক আছে। মনে করার মত কিছু হয় নি তো।
-আসলে অনেকেই পছন্দ করে না। একটার বেশি দুটো কথা বলতে গেলেই বিরক্ত হয়। ভালো লাগলো আপনি বিরক্ত হচ্ছেন না দেখে। আমার আর.বি.আই এর একটা এক্সাম আছে দুপুর বারোটায়। ভেনু সল্টলেক।
"ও আচ্ছা" বলেই চুপ করে রইলাম। কিন্তু আমিও যে কথা বলতে আগ্রহী হচ্ছি না এটা কি ও বুঝতে পারছে না? নাকি না বোঝার ভান করছে? স্বর্ণশ্রীর স্বভাবটাও ছিল এমনই। সে মুহুর্তে মনে পড়ে যাচ্ছিল ওর কথা। ওর সঙ্গে প্রথম পরিচয়ে ও-ই বেশি আগ্রহ দেখিয়েছিল। কলেজে তখন ফার্স্ট ইয়ার। আমার সঙ্গে নিজে থেকেই কথা বলেছিল ও। আমি হয়তো এড়িয়ে এড়িয়ে যাচ্ছিলাম।তারপর দেখলাম ও-ই আমার সব থেকে ভালো বন্ধু হয়ে গিয়েছিল। বাড়ি থেকে টিফিন এনে সবার আগে ও আমাকেই দিত। কেয়ারটা একটু বেশিই করত। তখন আমরা জাস্ট বন্ধু ছিলাম। স্বর্ণশ্রীর মত এই মেয়েটাও যেচেই কথা বলতে চাইছিল। যত ভাবছিলাম পাত্তা দেব না ততই বেশি করে কথা বলতে আগ্রহী হতে দেখলাম। মনে মনে ভাবলাম ট্রেনে তো আরো লোক আছে। আমাকেই কেন? বেশি কথা বললে হবে না এমনটাই ভাবছি ঠিক তখন মেয়েটি বলল,
-আপনি যাবেন কোথায়?
-কলকাতাতেই।
-কলকাতার কোথায়?
-সল্টলেকেই যাব।
সল্টলেক শুনে মেয়েটি বলল,
-আপনিও? তাহলে তো ভালোই হল।
বুঝলাম না ভালো কেন হল। আমার সাথে কথা বলতে মেয়েটি বেশ আগ্রহী হয়ে উঠল দেখলাম।আমি কথা বলতে না চাইলেও কথা কীভাবে বলাতে হয় সেটা এ মেয়েটি জানে। এমন ভাবে কথা বলতে শুরু করল পরিচয়টা যেন আগে থেকেই হয়েছিল। আমি চুপ করে আছি দেখে মেয়েটি বলল,
-আপনিও যখন সল্টলেক যাবেন তাহলে আপনার সাথেই চলে যাব। আপনার অসুবিধা নেই তো?
অনিচ্ছা থাকা সত্ত্বেও বললাম,
-না না অসুবিধার কি আছে?
এই হলো আমার স্বভাব মুখের ওপর না বলতে না পারা। কথা ঘুরিয়ে বলতে পারতাম অন্য জায়গার কথা। কি জানি সত্যিটাই বলে ফেলেছিলাম। আমার পজেটিভ রেসপন্স শুনে ও বলল,
-আসলে আপনারা কলকাতার মানুষ। রাস্তাঘাট ভালো চেনেন। আমার সঙ্গে এতটা কো-অপারেট করছেন, ভালো লাগছে তাই...দিনকাল তো ভালো নয়। মানুষের ব্যবহারটাই থেকে যায়।
আমিও আর চুপ থাকতে না পেরে জিজ্ঞেস করেই ফেললাম,
-তাহলে আপনার বাড়ি কোথায়?
-জলপাইগুড়িতে থাকি। অন্য কোনো ট্রেনের টিকিট পেলাম না। তাই তো এই ট্রেনে। আমার এক্সাম বারোটায়। তা আপনি সল্টলেকে যাচ্ছেন মানে ওখানেই আপনার বাড়ি?
-না না অফিস।
-কিসে জব করেন?
-স্টেট গভর্নমেন্টে।
-সরকারি চাকরি? বাহ্ খুব ভালো। আমিও চেষ্টা করছি সরকারি চাকরির।
মেয়েটি কথা বলার জন্য আরো আগ্রহ দেখালো। কোথায় বাড়ি, বাড়িতে কে কে আছেন খুঁটিনাটি সব জিজ্ঞেস করলেন। আমিও আর এড়িয়ে যেতে পারলাম না। সব কথারই উত্তর দিল। মেয়েটি সম্পর্কে জানতে আমারও আগ্রহ আরো বাড়ল। জলপাইগুড়ি থেকে একটি মেয়ে কলকাতায় একা একা, আমি জিজ্ঞাসা করেই ফেললাম,
-আপনি একা আসছেন, তা আপনার সঙ্গে কেউ আসেনি? মানে আপনার বাবা মা....
মেয়েটি বলল,
-না কেউ আসেনি।
-আপনাকে একাই ছেড়ে দিল?
-কি বলি বলুন তো। বাড়িতে আমি আর মা। বাবা মারা গেলেন হার্ট অ্যাটাকে বছর তিনেক আগে।একটা বেসরকারি চাকরি করতেন আমার বাবা। তারপর থেকে এই তো চলছে। একটা চাকরির খুব দরকার। টিউশন করি। মায়ের শরীরটাও ভালো নয়। মায়ের ওষুধের খরচ, নিজের পড়াশোনা সবটাই আমার রোজগারের ওপর চলে। টিউশন করে যা পাই চলে যায় মোটামুটি । তবুও একটা পার্মানেন্ট জব চাই। যে কোনো প্রকারে একটা চাকরি পেতেই হবে। তা না'হলে আর জলপাইগুড়ি থেকে কলকাতায় পরীক্ষা দিতে আসি? মা বলেছিল, "যেতে হবে না। অত দূর। তাছাড়া কলকাতায় কিছু চিনিস না।" আমি মাকে বলেছি,;আমি কি আর ছোটো আছি নাকি? তুমি কোনো চিন্তা করো না। আমি ঠিক পারব। আমিও একটু টেনশন করছিলাম, ভাবছিলাম হাওড়ায় নেমে কীভাবে যাব। আর এই তো আপনার সাথে পরিচয় হয়ে গেল। আমাদের মত মানুষদের কাছে ভগবান কাউকে না কাউকে পাঠিয়েই দেন।
কথা গুলো শুনে মনটা একটু বিষণ্ণ হয়ে উঠেছিল। বাবা না থাকার কষ্টটা আমিও বুঝি। একটা মেয়েও যে জীবন যুদ্ধে লড়ছে এটা শুনে ভালো লাগল। আমি নিজে থেকেই বললাম,
-না না চিন্তা করবেন না।আমি আছি। সল্টলেক তো আমিও যাব।
-অনেকটা ভরসা পেলাম জানেন তো।
কথা বলব না ভেবেও ট্রেনে বসে অনেক কথাই বলেছিলাম। দু ঘণ্টার মধ্যেই যেন একটা বন্ধুত্ব হয়ে গেল। মেয়েটি বলল, আমাকে আপনি করে বলার দরকার নেই। আমার ডাক নাম সৃজা।তুমি করে বললেই হবে। খুশি হব নাম ধরে ডাকলেই। তারপর থেকে তুমি করেই কথা বলতে শুরু করি। হাওড়াতে ট্রেন থেকে নামি। নামার পর সৃজা বলল, 'এক কাপ চা খেতে হবে।' আমারও এমনিতেই চা খাওয়ার নেশা আছে। চায়ের স্টলে গিয়ে দু কাপ চা দিতে বলি। চা খেয়ে চায়ের দাম দিতে যাব, ও বলল, উঁহু আমি দেব। কিছুতেই আমাকে দাম দিতে দিল না। বাসে উঠেই বাসের ভাড়াটা আগেই থেকে ও কেটে নিল। আমি বললাম, একি তুমি ভাড়া দিয়ে দিলে?
ও বলল,
-কেন আমি দিলে কি মহাভারত অশুদ্ধ হয়ে যাবে?
-না মানে অশুদ্ধ নয়। আসলে....
-আরে ওসব পরে ভাববেন। বন্ধুত্ব হয়ে গেছে যখন তখন যে হোক একজন ভাড়া দিলেই হলো।
কিছু আর বলতে পারিনি আর। সল্টলেক পৌঁছে বললাম,
-খুব খিদে পেয়েছে সৃজা। চলো কিছু খাওয়া যাক।
সৃজা বলল,
-আমারও।
জিজ্ঞেস করলাম,
-কী খাবে বলো? আমি কিন্তু খাওয়ার বিলটা দেব।
মেয়েটি বলল,
-সে রাস্তাও নেই। খাবার তো আমার ব্যাগেই আছে। আপনার খিদে পেয়েছে,তাই না খাইয়ে পারি? মা পরোটা করে দিয়েছে। সঙ্গে মিষ্টি আছে। যা দিয়েছে দুজনের হয়ে যাবে ভালো মত।
আমি বললাম,
-পরোটা..আরো কিছু একটা খাবার নিয়ে নিলে হত না?
-আরে খান তো। মা বানিয়ে দিয়েছে। মায়ের হাতের তো। খারাপ লাগবে না। ওই খেয়েই পেট ভরে যাবে।
-কিন্তু আমি তো একটা টাকাও খরচ করতে পারলাম না।
-পরের বার যখন কলকাতায় আসব তখন।
-বেশ তোমার মোবাইল নাম্বার দিও
ও বলল,
-আমার তো মোবাইল নেই। আমার বান্ধবীর নাম্বারটা দিচ্ছি। আমাদের পাশেই বাড়ি। কখনো কল করলে আমাকে পেয়ে যাবেন।
সৃজা আমাকে নাম্বার দেয়। আমিও সেভ করি নাম্বারটা। ওর ফেরার ট্রেন ছিল ওই দিনই সন্ধ্যে সাতটায় শিয়ালদহ থেকে। যাইহোক ওকে ছেড়ে দিয়ে ওখান থেকে নিজের রুমে ফিরি। কারণ অফিস জয়েন করতে হবে। সৃজাকে যখন বললাম, ভালো করে এক্সাম দিও। ও শুধু হেসে বলছিল, আবার দেখা হবে।
না আর কখনোই সৃজার সাথে দেখা হয় নি। নাম্বার সেভ করেও আর কল করতে পারিনি কখনো। সেদিন অফিস থেকে ফেরার পথে আমার মোবাইলটাই চুরি হয়ে যায়। যোগাযোগের সব রাস্তাই বন্ধ হয়ে যায়। আমিও সৃজাকে আমার নাম্বার দিইনি। সৃজা নিজে থেকেও আমার নাম্বার চায়নি সেদিন। আজ এত বছর পরেও সৃজাকে খুঁজি। ওর ডাক নাম ছিল সৃজা। হয়তো ওর আরো একটা নাম আছে। কিন্তু আমাদের সম্পর্কটার কোনো নাম দিতে পারি নি। বন্ধুত্বের থেকেও বেশি। আবার ঠিক প্রেমও নয়। সেদিন একটা টাকাও আমাকে খরচ করতে দেয়নি সৃজা। ও বলেছিল, আমি চাকরি করি না তো কি হয়েছে? সামান্য কিছু একটা করছি। এক কাপ চা খাওয়ানোর ক্ষমতা আমার আছে। ভালো লেগেছিল সৃজার ব্যক্তিত্ব আর আত্মসম্মান বোধ দেখে। মাথা উঁচু করেই বাঁচতে জানে মেয়েটা। আজ এত গুলো বছর কেটে গেছে। হয়তো সৃজা ভালো একটা চাকরিও পেয়েছে। মাকেও ভালো রেখেছে নিশ্চয়ই। আমিও ভালো আছি। বিয়ে করে আমি এখন সংসারি। তবে একটা অপ্রপ্তি রয়ে গেছে। সৃজাকে আর খুঁজে না পাওয়া। তবে সেদিন যতক্ষণ সৃজার কাছাকাছি ছিলাম একটা পারফিউমের মিষ্টি গন্ধে ভরে ছিল সেই কয়েক ঘণ্টার মুহূর্ত। এখনো যদি কোথাও ওই গন্ধটা পাই বুকটা ছ্যাঁক করে ওঠে। সঙ্গে সঙ্গেই সৃজাকে খুঁজতে থাকি। একটু ছোঁয়া পেতে ইচ্ছে করে। জীবনে এমন কিছু গন্ধ থেকে যায় যে গন্ধটা শুধু প্রিয় মানুষটাকেই মনে করায়। আজ এত বছর পরে আমার সব কিছু থেকেও কি যেন একটা নেই। অনেক অনেক প্রাপ্তির মধ্যে এ যেন এক বড় অপ্রাপ্তি।
•••••••••••••••••••×××ו••••••••••••••••••