জনবিবর্তন মডেল ( Demographic Transition Theory )
সংখ্যার
যুগ সর্বদা পরিবর্তনশীল বা কোন নির্দিষ্ট স্তরে স্থির। কোন দেশের জন্মহার
মৃত্যুহার পরিব্রাজন ও জনসংখ্যা স্বাভাবিক আর বৃদ্ধি এইসব বিষয়কে যদি এক সূত্রে
গঠিত করা যায় সে ক্ষেত্রে একটি মডেলের সূচনা ঘটে এবং এই মডেলের মাধ্যমে দেশটির
জনসংখ্যার যে ধারাবাহিক পরিবর্তন সাধিত হয় এবং তা অর্থনীতি সাংস্কৃতিক পরিবেশের
অবস্থা তখন তাকে জনসংখ্যার বিবর্তন মডেল বলে।
প্রবর্তক:-
জনবিবর্তন
মডেলের জনক হলেন মার্কিন অর্থনীতিবিদ ও সমাজবিজ্ঞানী ওয়ার্নার থম্পসন(১৯২৯)।বিজু
গার্নিয়ার(১৯৬৬) আলোচ্য তত্ত্বটিকে সমৃদ্ধ করেছেন। এছাড়া ফ্রাঙ্ক নটস্টাইন , সি.পি.ব্লাকার(১৯৪৭) এই মডেল
প্রদান করেন।
প্রেক্ষাপট:-
"Dictionary
of Human Geography" থেকে জনসংখ্যা বিবর্তনের সম্পর্কে যে ধারণা
পাওয়া যায় তা হল মানুষের আত্ম-সামাজিক অবস্থা দেশ ও সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বদলে
যায়। ফলে উন্নয়নের সূচকের ভিত্তিতে প্রাপ্ত তথ্যের প্রকৃতি ও বদলে যায়
কৃষিভিত্তিক সমাজের যা চাহিদা তা শিল্পভিত্তিক সমাজে থাকতে পারে না। কৃষি যত উন্নত
হয় সমাজ ও অর্থনীতি ততই মজবুত হতে থাকে।
মূলবক্তব্য:-
এই
তথ্যের মূল বক্তব্য হলো কোন দেশের জনসংখ্যা ধারাবাহিক পরিবর্তন ওই দেশের জন্মহার ও
মৃত্যুহার তারা প্রধানত নিয়ন্ত্রিত হয়ে থাকে । জনসংখ্যা বিবর্তনের ফলে দেশের
সামাজিক অর্থনৈতিক প্রভৃতি ক্ষেত্রের মাধ্যমে মানব উন্নয়নের অংশ ওতপ্রোতভাবে
জড়িয়ে থাকে।
** কোন দেশে জন্মহার , মৃত্যুহার জনসংখ্যা বৃদ্ধি
এবং হ্রাস ও সমাজ ও অর্থনীতির মধ্যে পাঁচ ধরনের সম্পর্ক রয়েছে। যেমন-
১.
উচ্চ জন্মহার- উচ্চ মৃত্যুহার= প্রথম পর্ব বা প্রাক শিল্প পর্যায়
২.
উচ্চ জন্মহার - নিম্ন মৃত্যুহার = দ্বিতীয় পর্ব বা নবীন পাশ্চাত্য পর্যায়
৩.
নিম্ন জন্মহার - নিম্ন মৃত্যুহার = তৃতীয় পর্ব বা আধুনিক পাশ্চাত্য পর্যায়
৪.
নিম্ন জন্মহার - অতি নিম্ন মৃত্যুহার = চতুর্থ পর্ব বা পরিণত পর্যায়
৫.
অতি নিম্ন জন্মহার - জন্ম অপেক্ষা মৃত্যুহার বেশি= পঞ্চম পর্ব বা অতি উন্নত
পর্যায়