ত্বক ঘাম প্রক্রিয়ার মাধ্যমে মলত্যাগে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এটি কীভাবে অবদান রাখে তা এখানে তা সম্পর্কে বলা হলো -
1. ঘাম গ্রন্থি: -
ত্বকে ঘাম গ্রন্থি রয়েছে যা ঘাম উৎপন্ন করে, যা প্রাথমিকভাবে জল, লবণ (ইলেক্ট্রোলাইটস), ইউরিয়া এবং অন্যান্য পদার্থের সমন্বয়ে গঠিত। ইউরিয়া একটি বর্জ্য পণ্য যা শরীরে প্রোটিনের ভাঙ্গনের ফলে।
2. বর্জ্য নির্গমন:-
ঘাম শরীর থেকে অল্প পরিমাণে ইউরিয়া, লবণ এবং পানি নির্গত করতে সাহায্য করে। এই প্রক্রিয়াটি শরীরে ইলেক্ট্রোলাইট এবং জলের ভারসাম্য বজায় রাখতে সহায়তা করে এবং শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে।
3. ডিটক্সিফিকেশন:-
ত্বকের মাধ্যমে কিছু টক্সিন এবং বিপাকীয় বর্জ্য পদার্থ দূর করতেও ঘাম ভূমিকা পালন করে। যদিও মলত্যাগের প্রাথমিক অঙ্গ হল কিডনি, যা রক্তকে ফিল্টার করে এবং প্রস্রাব তৈরি করে, ত্বক ঘামের মাধ্যমে সরাসরি কিছু বর্জ্য পদার্থ নির্গত করে এই ফাংশনকে পরিপূরক করে।
4.শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ:-
ঘামের আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ কাজ হল থার্মোরগুলেশন। যখন শরীর অতিরিক্ত গরম হয়, ঘাম ত্বকের পৃষ্ঠ থেকে ঘামের বাষ্পীভবনের মাধ্যমে তাপ মুক্ত করে এটিকে ঠান্ডা করতে সাহায্য করে।
সংক্ষেপে, ত্বক ঘামের মাধ্যমে ইউরিয়া, লবণ এবং জলের মতো বর্জ্য পদার্থ নির্মূল করে, যার ফলে শরীরকে অভ্যন্তরীণ ভারসাম্য বজায় রাখতে এবং তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে।