19 শতকে আধুনিক বাংলা গদ্য ও কবিতাকে জনপ্রিয় করার জন্য ঈশ্বরচন্দ্র গুপ্তকে প্রায়ই "বাংলা সাহিত্যের জনক" বলা হয়। তিনি বাংলা শ্লোকের ঐতিহ্যগত রূপের প্রতি আগ্রহ পুনরুজ্জীবিত করেন এবং প্রভাবশালী সাহিত্য পত্রিকা সম্বাদ প্রভাকর সম্পাদনা করেন, যা বাঙালি লেখক ও বুদ্ধিজীবীদের জন্য একটি প্ল্যাটফর্ম হয়ে ওঠে।
যদিও অনেকে বঙ্কিম চন্দ্র চট্টোপাধ্যায়কে বাংলা সাহিত্যের বিকাশে, বিশেষ করে গদ্যকথার বিকাশে বিলম্বিত ব্যক্তিত্ব হিসাবে স্মরণ করেন, কিছু পণ্ডিত তাকে আধুনিক বাংলা রচনাকে রূপদানকারী বাংলা সাহিত্যের অন্যতম প্রধান সৃজনশীল মন হিসাবেও স্মরণ করেন।
সংক্ষেপে, যদিও ঈশ্বরচন্দ্র গুপ্তকে বাংলা সাহিত্য ঐতিহ্যের জনক বলা যেতে পারে, বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের মতো ব্যক্তিবর্গও এতে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করেছিলেন।